Affiliate Marketing: মার্কেটিং কি?
হলো একটি ব্যবসায়িক মডেল যেখানে একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অন্যের পণ্য বা সেবা প্রচার করে এবং বিক্রির মাধ্যমে কমিশন অর্জন করে। সাধারণত একটি ওয়েবসাইট, ব্লগ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, বা ইমেইল মারফতে করা হয়। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে, অ্যাফিলিয়েটরা সাধারণত একটি বিশেষ লিঙ্ক ব্যবহার করে, এই এর লিঙ্ক মাধ্যমে যখন কেউ কোন পণ্য ক্রয় করে, তখন অ্যফিলিয়েটকে কমিশন দেওয়া হয়। এটাই হলো মূলত Affiliate marketing।
Affiliate এর মূল গঠন প্রণালী:
আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চান, তবে আমি মনে করি এফিলিয়েট মার্কেটিং দিয়ে শুরু করাটাই ভালো। কারণ দেখুন এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য আপনার এত বড় কোন কোর্স করার প্রয়োজন নেই। ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটা কোর্স করতে গেলেই কোর্স ফি আপনাকে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা দিতে হবে। কিন্তু এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য ম্যাক্সিমাম রিসোর্সই আপনি একটু ভালো করে রিসার্চ করলেই ফ্রিতে পেয়ে যাবেন তবে হ্যাঁ একজন গাইড অবশ্যই দরকার।
এখন কথা হল কেন এফিলিয়েট মার্কেটিং বেছে নেওয়া উচিত?
দেখুন আপনি যখন এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে যাবেন, তখন সবার আগে আপনাকে মার্কেট রিসার্চ করতে হবে। মার্কেট রিচার্জ বলতে কোন প্রোডাক্টের গুণগত মান কেমন এবং কাস্টমারের কাছে জনপ্রিয়তা কেমন। এই মার্কেট রিসার্চ টা বুঝতে পারলেই আপনার ২৫% কাজ হয়ে যাবে। বাকি রইল ৭৫%। এই ৭৫% এর মধ্যে রয়েছে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা, ইমেইল মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট তৈরি করা চ্যানেল তৈরি করা এবং সেগুলোর জন্য কনটেন্ট তৈরি করা। আমরা ধাপে ধাপে প্রত্যেকটা বিষয় সম্পর্কে জানবো এবং বিস্তারিত আলোচনা করবো।
ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital Marketing) কিভাবে করে?এখন কথা হল এফিলিয়েট মার্কেটিং কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটা পার্ট। একটা পার্ট হলেও আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিংকে কেন্দ্র করে প্রয়োজন অনুযায়ী সবগুলো আস্তে আস্তে শিখতে পারবেন। তখন আপনি জানতে পারবেন কোনটার পরে আপনার কোনটা শেখা উচিত।
কোন ব্যবসার সাথে যখন অ্যাফিলিয়েট পার্ট যুক্ত করা হয়, তখন সে ব্যবসার পরিচিতি এবং লভ্যাংশ কয়েক গুণ বৃদ্ধি পায়। এফিলিয়েটের জন্য কোন ব্যবসা ও প্রতিষ্ঠানে নতুন কোন কর্মচারী বা জনবল নিয়োগের প্রয়োজন হয় না, যার ফলে কোম্পানিটির কোন বিনিয়োগ ছাড়াই আয় বেড়ে যায়। এর ফলে একটি গোষ্ঠীর বেকারত্ব দূরীকরণ হয় এবং তাদের ইনকামের পথ তৈরি হয়।
- বেশি পুঁজির প্রয়োজন নেই: শুরু করতে খুব বেশি পুঁজির প্রয়োজন হয় না। আপনি সহজেই একটি ব্লগ বা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট দিয়ে শুরু করতে পারেন।
- ফ্লেক্সিবল সময়: এটি একটি ফ্রিল্যান্স কাজ, তাই আপনি আপনার সুবিধামতো সময়ে কাজ করতে পারেন।
- নিরবিচ্ছিন্ন আয়: সঠিকভাবে কাজ করলে, একবার মার্কেটিং করে দীর্ঘমেয়াদী আয় করা সম্ভব। বিভিন্ন Niche: আপনি বিভিন্ন পণ্য ও সার্ভিস বাচাই করতে পারেন, যা আপনাকে আপনার আগ্রহ ও ক্রেতার চাহিদার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ক্যাটাগরি নির্বাচন করতে পারবেন।
- কমিশনের হার: কিছু পণ্য বা সার্ভিসের কমিশন কম হতে পারে, যেগুলোর সেল বেশি হয় এসব পণ্যের কমিশন কম হলেও তা আপনার ইনকামকে উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে দিতে পারে।
- Affiliate মার্কেটিংয়ে সফল হতে হলে আপনাকে সঠিক পণ্য নির্বাচন, কার্যকর প্রচার কৌশল এবং আপনার ক্রেতার প্রয়োজন বুঝতে হবে।